জনাব হাসান একজন ব্যবসায়ী। তিনি কামারপুকুর এলাকায় কিছু কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার কারখানার পণ্যগুলো অন্য এলাকায় বিক্রি করেন। তিনি জানতে পারেন, রহমতগঞ্জ ব্যবসার জন্য একটি উত্তম জায়গা। তিনি সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। পরে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরাও রহমতগঞ্জে ব্যবসায় শুরু করেন। কাজলদিঘি এলাকার ব্যবসায়ী গিবসন রহমতগঞ্জের চেয়ারম্যানের কাজে হস্তক্ষেপ করা শুরু করেন। পরিশেষে জনাব গিবসন রহমতগঞ্জের চেয়ারম্যানের ক্ষমতা দখল করে শাসন শুরু করেন।
উদ্দীপকে রহমতগঞ্জে ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় আমার পাঠ্যবইয়ের বাংলায় ইউরোপীয়দের বাণিজ্য বিস্তারের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।
ইউরোপের দেশগুলোতে অর্থনীতি বিকাশের ফলে কাঁচামাল ও উৎপাদনসামগ্রীর জন্য বাজারের সন্ধানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে তাদের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয় ভারতবর্ষ, বিশেষ করে বাংলা। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা অঞ্চল ছিল ধনসম্পদে পূর্ণ রূপকথার মতো একটি দেশ। এ অঞ্চলের সিল্ক ও অন্যান্য মিহি কাপড় এবং মসলা বাণিজ্যের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। পুঁজির শক্তিশালী প্রভাব আর উন্নত কারিগরি জ্ঞানের সমন্বয় করে ক্রমে বিদেশি বণিকরা এদেশে স্থানীয় শ্রমিকদের খাটিয়ে বড় বড় শিল্পকারখানা স্থাপন করে প্রচুর মুনাফা করতে থাকে। জনাব হাসানের মতো প্রথমে এখানে পর্তুগিজরা আসে। পরবর্তীতে ওলন্দাজ, দিনেমার, ফরাসি ও ইংরেজরা বাংলায় কারখানা স্থাপন করে। বিদেশি বণিকদের বিনিয়োগ ও ব্যবসায় রমরমা হয়ে ওঠে। দেখা গেছে, তখন শুধু কাশিমবাজারে বছরে ২২ হাজার বেল সিল্ক উৎপাদিত হতো। ওলন্দাজরা তাদের ফ্যাক্টরিতে সাতশ-আটশ মানুষ কাজ করত। ক্রমে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজদের ভূমিকা প্রাধান্য পায়। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করতে তৎপর হয়। স্থানীয় শাসকদের কাজে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করে। ষড়যন্ত্র করে ২২ বছরের নবাবকে পরাজিত করে বাংলায় ইংরেজ কোম্পানির শাসন শুরু করে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত রহমতগঞ্জের ঘটনাটি বাংলায় ইউরোপীয়দের বানিজ্য বিস্তারের বিষয়টি নির্দেশ করা হয়েছে।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?